January 5, 2025, 3:33 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে বনের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ গৌরনদী সরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পটিয়ায় আদালতের নির্দেশ না মেনে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ তানোরে আলুখেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক নড়াইলে চাঞ্চল্যকর শিশু হামিদা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন মহিলা আসামি গ্রেফতার পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুত্বর আহত মুন্সীগঞ্জে কামরুজ্জামান রতনে নির্দেশনা শিলই ইউনিয়ন বিএনপি কম্বল বিতরণ করেন ধান ক্ষেতে লাশ,ময়মনসিংহে মাত্র ২দিনে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আসামী গ্রেফতার করলো পিবিআই নওগাঁয় সাড়ে ৯ কেজি গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার-২ মুন্সীগঞ্জে মঞ্চস্থ হলো নাটক- নির্বর্তন
খরায় পুড়ছে মাঠের ধান ক্ষেত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা

খরায় পুড়ছে মাঠের ধান ক্ষেত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আষাড় গেলো বৃষ্টিহীনতায়। চলে গেছে শ্রাবনও। বৃষ্টির দেখা মেলেনি ভাদ্র মাসের অর্ধেকেও। তীব্র খরা আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের ত্রাহি দশা। তপ্ত রোদে ফেটে চৌচির হচ্ছে আমনের ক্ষেত। বৃষ্টির দেখা মেলেনি বর্ষা ঋতুর আড়াই মাসেও। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চলছে সেচযন্ত্র। তারপরও কৃসকের স্বস্তি নেই। সেচ দেওয়া পানিও জমিতে বেশিক্ষণ থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নিচু বা বিল এলাকার জমিতেও পানি নেই। পানির অভাবে উচু জমির ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির। ধান গাছের গোড়ায় পানি না থাকায় পোকা মকড়ের উপদ্রুপ বেড়ে যাচ্ছে। সেচ আর কীটনাশক খরচ মেটাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি জমিতে পাট থাকার কারণে আবাদে দেরি হচ্ছে বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে ফসলের জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে অনেক জমির ধান মরে যাচ্ছে। অনেক কৃষক ধান বাঁচাতে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। আর প্রতিবার সেচ দিতে বিঘাপ্রতি গুনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা। উদয়পুর গ্রামের কৃষক আকাশ বলেন, পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির। ধান লাগানো প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, এখনো কোনো উন্নতি নেই। আর জমিতে দেওয়ার জন্য সার তো পাওয়াই যাচ্ছে না। বাজারে সার আনতে গেলে বলছে সার নেই, আবার বেশি টাকা দিলে সার পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সাত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। এখন সব ধান মরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ধানের জমি চাষ দিয়ে অন্য আবাদ করি। হলিধানীর কৃষক আলম বলেন, ধান লাগানোর পরে পানির অভাবে সার দিতে পারিনি। ধানের জমি সব ফেটে গেছে। আর বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে ধানের আবাদ করলে তেমন লাভ হবে না। তারপরও বাধ্য হয়ে আমরা পানি সেচ দিচ্ছি। বংকিরা গ্রামের কৃষক বাবুল বিশ^াস জানান, এবছর উৎপাদক খরচ বেশি হবে। ধান চাষ করে দেনা দিতে দিতে কৃষক ফতুর হবে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিম বলেন, ঝিনাইদহে আমন ধান রোপণ প্রায় শেষ। এবছর আবহাওয়ার পরিবর্তন দৃশ্যমান। আষাঢ়-শ্রাবণ চলে গিয়ে ভাদ্র মাস চলছে, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। তিনি বলেন, কৃষকদের জমি ফেটে যাচ্ছে। তারা মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছে। সেচের সঙ্গে বৃষ্টির খুব প্রয়োজন। বৃষ্টি পেলে ধানের আবাদ ভালো হবে। তারপরও সেচের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব কি ভাবে ধান উৎপাদন এগিয়ে নেওয়া যায়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD